RSS

Category Archives: কচু

নারিকেল দুধে কচু ছেঁচকি

উপকরণ : কচুর গোড়ার অংশ ৪-৫ ইঞ্চির মতো, নারিকেল দুধ আধা কাপ (ঘন), পেঁয়াজ ১টি (বড়), হলুদ গুঁড়া ১ চা চামচ, মরিচ গুঁড়া আধা চা চামচ, রসুন বাটা আধা চা চামচ, জিরা গুঁড়া আধা চা চামচ, গরম মসলা গুঁড়া ১ চিমটি, কাঁচা মরিচ ৪-৫টি, লবণ স্বাদমতো, তেল প্রয়োজনমতো।

প্রণালি : কচুর গোড়ার অংশ ভালো করে ছুলে নিয়ে আধা ইঞ্চি পুরু গোল চাক করে কেটে দু’দিকে হালকা চিরে নিন। ফুটন্ত গরম পানিতে লবণ-হলুদ দিয়ে চাক করে কাটা কচুগুলো ভাপিয়ে পানি ঝরিয়ে রাখুন। প্যানে তেল গরম করে ভাপানো কচুগুলো হালকা করে ভেজে তুলে রাখতে হবে। তারপর পেঁয়াজ সোনালি করে ভেজে তাতে একে একে মরিচ-হলুদ গুঁড়া, রসুন বাটা, জিরা গুঁড়া আর লবণ দিয়ে কষিয়ে তাতে ভেজে রাখা কচু দিয়ে আবারও কষিয়ে অল্প গরম পানি দিন। কচু সেদ্ধ হওয়া পর্যন্ত রান্না করুন। কচু সেদ্ধ হয়ে গেলে চুলার আঁচ বাড়িয়ে দিয়ে নারিকেল দুধ, গরম মসলার গুঁড়া আর কাঁচা মরিচ দিয়ে ঝোল শুকিয়ে নামিয়ে নিন।

নারিকেল দুধে কচু ছেঁচকিরেসিপিটি প্রকাশিত হয় ২৯ এপ্রিল ২০১৫
1SAMAKAL=LOGO

 

কচুমুখীর ভুনা

উপকরণ : কচুমুখী ২৫০ গ্রাম, আদা বাটা ১ চা চামচ, রসুন বাটা ১ চা চামচ, হলুদ গুঁড়ো ১ চা চামচ, জিরা গুঁড়ো ১ চা চামচ, পেঁয়াজ বেরেস্তা সিকি কাপ, কাঁচামরিচ ৪/৫টি, লবণ স্বাদমতো, তেল ৩ টেবিল চামচ৷

যেভাবে তৈরি করতে হবে : কচুমুখী খোসা ফেলে আস্ত বা দুই ফালি করে কেটে গরম পানিতে লবণ দিয়ে আধা সেদ্ধ করে পানি ঝরিয়ে নিন৷ তেল গরম করে কচুমুখী হালকা ভেজে বেরেস্তা ও কাঁচামরিচ বাদে বাকি সমস্ত মসলা দিয়ে কষিয়ে নিন৷ প্রয়োজনে একটু পানি দিন৷ কষানো হলে পেঁয়াজ বেরেস্তা ও কাঁচামরিচ দিয়ে কিছুক্ষণ রান্না করুন৷ মাখা মাখা হয়ে আসলে নামিয়ে পরিবেশন করুন৷

কচুমুখীর ভুনারেসিপিটি প্রকাশিত হয় ১ সেপ্টেম্বর ২০১৩
BHORER KAGOJ LOGO

 
এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান

Posted by চালু করুন সেপ্টেম্বর 8, 2013 in কচু, শাকসবজি

 

নারকেল বাটায় চিংড়ি কচু

উপকরণ : চিংড়ি মাছ ২৫০ গ্রাম (মাঝারি সাইজের), কচু ফালি ১ কাপ, নারকেল বাটা আধা কাপ, হলুদ, মরিচ, জিরাগুঁড়ো ১ চা চামচ করে, আদা বাটা ১ চা চামচ, কাঁচামরিচ ফালি ৪-৫টি, তেল ২ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, লেবুর রস ১ চা চামচ, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ।

প্রস্তুত প্রণালি : প্রথমে কচু টুকরো টুকরো করে হালকা সিদ্ধ করে নিয়ে তুলে রাখুন। চুলায় পাতিল চাপিয়ে তাতে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে হালকা ভেজে একে একে সব মসলা সামান্য পানি দিয়ে একটু কষিয়ে নিন। এবার কচু ফালি নারকেল বাটা ও মাছ দিয়ে নেড়ে ৫ মিনিট রান্না করুন। ঢাকনা খুলে পরিমাণমতো পানি দিয়ে ঢেকে দিন আরও ১০ মিনিটের জন্য। নামানোর আগে লেবুর রস ও মরিচ ফালি দিয়ে নামিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার নারকেল বাটায় চিংড়ি কচু।

রেসিপিটি প্রকাশিত হয় ১১ জুলাই ২০১২

 

কচুর রিং ভাজা

উপকরণ : গোল গোল করে কাটা কচু টুকরো ৪টি, নারকেল দুধ ১ টেবিল চামচ, আদা বাটা ১ চা চামচ, হলুদ, মরিচগুঁড়া ১ চা চামচ করে, জিরা বাটা আধা চা চামচ, লবণ স্বাদমতো, তেল ভাজার জন্য।

প্রস্তুত প্রণালি : প্রথমে কুচকে গোল গোল করে কেটে নিয়ে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে রিংয়ের মতো কাটতে হবে। এবার টুথপিক দিয়ে ভালোভাবে আটকিয়ে নিতে হবে। একটি বাটিতে নারকেল দুধসহ সব মসলা দিয়ে মাখিয়ে রাখতে হবে কচুর রিং ২০-২৫ মিনিট। চুলায় ফ্রাইপ্যান বসিয়ে পরিমাণমতো তেল দিয়ে মাখিয়ে রাখা রিং লালচে করে ভেজে নিন উল্টে উল্টে। নামিয়ে পরিবেশন করুন ভিন্নধর্মী একটি রেসিপি কচুর রিং ভাজা।

রেসিপিটি প্রকাশিত হয় ১১ জুলাই ২০১২

 

কচু নারকেলের কোপ্তাকারি

উপকরণ : সিদ্ধ করা কচু কিমা ১ কাপ, মিহি করে বাটা নারকেল কিমা আধা কাপ, হলুদ, মরিচ, জিরাগুঁড়া ১ চা চামচ করে, পেঁয়াজ কুচি ২ টেবিল চামচ, আদা বাটা ও রসুন বাটা ১ চা চামচ করে, গরম মসলার গুঁড়া আধা চা চামচ, লবণ স্বাদমতো, তেল ভাজার জন্য।
গ্রেভির জন্য, পেঁয়াজ বাটা ১ টেবিল চামচ, আদা বাটা ১ চা চামচ, জিরাগুঁড়া ১ চা চামচ, নারকেল দুধ আধা কাপ, টমেটো সস ১ টেবিল চামচ।

প্রস্তুত প্রণালি : একটি বাটিতে কচু কিমা, নারকেল কিমাসহ সব উপকরণ এক সঙ্গে মেখে ছোট ছোট বল তৈরি করে নিন। ফ্রাইপ্যানে তেল দিয়ে বাদামি করে ভেজে তেল ঝরিয়ে নিন। অন্য একটি পাত্রে তেল দিয়ে তাতে গ্রেভির জন্য সব উপকরণ দিয়ে গ্রেভি তৈরি করুন। এবার ভেজে রাখা বলগুলো ঢেলে ৪-৫ মিনিট রেখে নামিয়ে পরিবেশন করুন কচু নারকেলের কোপ্তাকারি।

রেসিপিটি প্রকাশিত হয় ১১ জুলাই ২০১২

 

কচু নারকেল বড়া

উপকরণ : কচু কুচি ১ কাপ, নারকেল বাটা আধা কাপ, হলুদ, মচির, জিরাগুঁড়া ১ চা চামচ করে, আদা বাটা ১ চা চামচ, রসুন বাটা ১ চা চামচ, গরম মসলার গুঁড়া আধা চা চামচ, তেল ভাজার জন্য, লবণ স্বাদমতো, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, কাঁচামরিচ কুচি ৩-৪টি।

প্রস্তুত প্রণালি : কচু আলুর মতো কুচি কুচি করে কেটে হালকা ভাব দিয়ে নিন। একটি বাটিতে নারকেল কিমা ভাপ দেওয়া কচুসহ সব উপকরণ একসঙ্গে ভালোভাবে মেখে নিন। একটি কড়াইয়ে তেল গরম করে তাতে বড়ার মতো বাদামি করে ভেজে নিন এবং গরম গরম পরিবেশন করুন মজাদার নারকেল কচুর বড়া।

রেসিপিটি প্রকাশিত হয় ১১ জুলাই ২০১২

 

কচু নারকেল ভর্তা

উপকরণ : কচু কিমা ১ কাপ, নারকেল বাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ টেবিল চামচ, শুকনো মরিচ ভাজা ৩-৪টি, সরিষার তেল ১ টেবিল চামচ, পুদিনাপাতা কুচি অল্প পরিমাণ, লবণ স্বাদমতো।

প্রস্তুত প্রণালি : প্রথমে এক টুকরো কচুকে পুড়িয়ে বা সিদ্ধ করে ভালো করে মাখিয়ে কিমা তৈরি করুন। একটি ফ্রাইপ্যানে তেল দিয়ে তাতে পেঁয়াজ কুচি, শুকনা মরিচ কুচি দিয়ে বাদামি করে ভেজে তাতে কচু কিমা ও নারকেল বাটা দিয়ে নামিয়ে নিন। এবার পুদিনাপাতা কুচি ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে মাখিয়ে গরম ভাতে পরিবেশন করুন মুখরোচক কচু নারকেল ভর্তা।

রেসিপিটি প্রকাশিত হয় ১১ জুলাই ২০১২

 

সরিষা কচুপাতা ঘাঁটা

উপকরণ: কচুপাতা সেদ্ধ ২ কাপ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, আদা বাটা আধা চা-চামচ, রসুন বাটা ১ চা-চামচ, রসুন কুচি ১ টেবিল-চামচ, কাঁচা মরিচ ৪-৫টি, ইলিশের মাথা ১টি, সরিষা বাটা ২ টেবিল-চামচ, মরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচ, জিরা বাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজকুচি ৪ টেবিল-চামচ, সরিষার তেল সিকি কাপ, চিনি ১ চা-চামচ।

প্রণালি: কচুপাতা অথবা ডগা পরিষ্কার করে সেদ্ধ করে পানি ঝরিয়ে নিতে হবে। পাত্রে তেল দিয়ে রসুনকুচি ও পেঁয়াজকুচি দিয়ে বাদামি হলে সব গুঁড়া ও বাটা মসলা আধাকাপ পানি দিয়ে কষাতে হবে। এবার সরিষা বাটা ও ইলিশের মাথা দিয়ে কষাতে হবে। এরপর কচু দিয়ে নাড়তে হবে। কাঁচা মরিচ ও চিনি দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে পরিবেশন করুন। একই নিয়মে মাছ না দিয়ে শুধু সরিষা দিয়েও কচুঘাঁটা করা যায়।

রেসিপিটি প্রকাশিত হয় ২৯ জুন ২০১০

 

 

কচুর কোরমা

উপকরণ: কচু ১৫ টুকরা, সয়াবিন তেল আধাকাপ, রসুন বাটা আধা চা-চামচ, পেঁয়াজ বাটা ৪ টেবিল-চামচ, পেঁয়াজ বেরেস্তা ৪ টেবিল-চামচ, তেঁতুলের মাড় ১ টেবিল-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, ঘি ২ টেবিল-চামচ, আদা বাটা ১ টেবিল-চামচ, শুকনা মরিচ গুঁড়া আধা চা-চামচ, পোস্তাদানা বাটা ১ চা-চামচ, দুধ ২ কাপ, চিনি ১ টেবিল-চামচ।

প্রণালি: কচু ছিলে আধা ইঞ্চি পুরু করে গোল টুকরা করতে হবে। এগুলো কেচে নিতে হবে। অল্প লবণ মাখিয়ে ফ্রাইপ্যানে হালকা বাদামি করে ভেজে নিতে হবে। অন্য পাত্রে তেল দিয়ে পেঁয়াজ বেরেস্তা করে তুলে রাখতে হবে। এবার ওই তেলে বাটা ও গুঁড়া মসলা আধা কাপ পানি দিয়ে কষাতে হবে। ভালোভাবে কষানো হলে দুধ দিয়ে ঝোল দিতে হবে। ফুটে উঠলে ভাজা কচুর টুকরাগুলো দিয়ে মাঝারি আঁচে রাখতে হবে। কচু সেদ্ধ হলে তেঁতুলের মাড়, কাঁচা মরিচ ও চিনি দিতে হবে। দমে বসাতে হবে। ঝোল মাখা মাখা হলে ঘি দিয়ে নেড়ে ঢেকে দিতে হবে। এবার নামিয়ে ভাত অথবা পোলাওয়ের সঙ্গে পরিবেশন করুন।

রেসিপিটি প্রকাশিত হয় ২৯ জুন ২০১০

 

 

ছড়াকচুর খাট্টা

উপকরণ: ছড়া কচুরমুখি ৫০০ গ্রাম, চিংড়ি মাছ ১ কাপ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, আদা বাটা আধা চ-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, মরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচ, পেঁয়াজকুচি ২ টেবিল-চামচ, তেঁতুলের মাড় সিকি কাপ (স্বাদমতো), জিরা গুঁড়া ১ চা-চামচ।

প্রণালি: কচুরমুখি সেদ্ধ করে আধা ভাঙা করে নিতে হবে। পাত্রে তেল দিয়ে পেঁয়াজকুচি দিতে হবে। একটু পর চিংড়ি মাছ দিয়ে নাড়তে হবে। হালকা বাদামি হলে সব বাটা ও গুঁড়া মসলা দিয়ে কষাতে হবে। ভালোভাবে কষানো হলে সেদ্ধ করা মুখিগুলো দিয়ে আবার কষাতে হবে। ঝোলের জন্য গরম পানি দিতে হবে ৪-৫ কাপ। ঝোল মোটামুটি ঘন হলে তেঁতুলের মাড় দিতে হবে। এবার দমে রেখে জিরা গুঁড়া দিয়ে নামাতে হবে।

রেসিপিটি প্রকাশিত হয় ২৯ জুন ২০১০